বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে সুপারিশ করা হবে কি না চলতি এপ্রিল মাসেই এ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এমনটিই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মাল্টার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ভানেসা ফ্রেজিয়ের বলেন, ‘আজ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের আবেদনের ব্যাপারে চলতি এপ্রিল মাসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, পূর্ণ সদস্যপদের জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা-তদবিরের পর ২০১১ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এই ক্যাটাগরিভুক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা-বিতর্কে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু উত্থাপিত কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেয়ার একতিয়ার তাদের নেই।
জানা যায়, নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্যসংখ্যা ১৫। এই ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ৫টি রাষ্ট্র স্থায়ী এবং বাকি ১০টি অস্থায়ী। পরিষদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে স্থায়ী সদস্যরা আপত্তি জানানোর মাধ্যমে সেটি বাতিল করে দিতে পারেন। এই ক্ষমতাকে বলে ভেটো ক্ষমতা। কেবল স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর এই ক্ষমতা রয়েছে।
অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভেটো ক্ষমতা নেই। জাতিসংঘের বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্রের মধ্য থেকে তাদের বেছে নেয়া হয় এবং এই সদস্যপদের মেয়াদ হয় ২ বছর।
প্রতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের পদটি আবর্তিত হয়। ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের প্রত্যেকেই ক্রমানুযায়ী এক মাসের জন্য পরিষদের প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে পারে। চলতি এপ্রিলে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছে অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র মাল্টা।
এদিকে, জাতিসংঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি এই সংস্থার সদস্য হতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে আবেদনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদন পত্রের সঙ্গে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
ভয়েস/জেইউ।